ইমাম খাইর, সিবিএন:
শেখ হাসিনা জনরায় ও গণতন্ত্র বিশ্বাস করেনা বলেই নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষকে ভয় পায়। গণতন্ত্র বিশ্বাস করেনা। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়। আগামী নির্বাচনে তার সঠিক জবাব দিবে জনগণ।
কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দল আয়োজিত পহেলা মে শ্রমিক সমাবেশে লুৎফুর রহমান কাজল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কক্সবাজার পৌরসভার সফল প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গনে সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা কাজল বলেন, আওয়ামী লীগের এই সময়কালে অনেক শিল্প কারখানা ধংস হয়ে গেছে। শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। তাদের মজুরি বাড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নেই। গণমাধ্যমগুলো সঠিক সংবাদ প্রচার করতে হুমকির সম্মুখিন। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বিচার থাকবেনা। গণতন্ত্রের জন্য নিরপেক্ষ ভোট দরকার।
শেখ হাসিনাকে বাকশালী সরকার প্রধান উল্লেখ করে লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য মাসের পর মাস চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধ করে রেখেছিল। ক্ষমতায় গিয়েই তিনি বিরোধী দল দমনে ব্যস্ত। বিরোধী দলগুলোর সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে সভা সমাবেশ করতে হয়। অনুমতি নিতে গেলে নানা ছলচাতুরী করে। যেন বাকশালী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এত উন্নয়ন করেছে প্রচার করছে। এরপরও কেন মানুষেকে এত ভয় পায়? শেখ হাসিনা কেন গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চায়? আগামী নির্বাচনে কোন প্রহসন করতে দেয়া হবেনা। বিকাশ মার্কা নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। বিএনপি ও খালেদা জিয়ার উপর যত নির্যাতন করা হয়েছে ততই জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিএনপি শক্তিশালী হয়েছে।
জননেতা কাজল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিপক্ষে। দাবী আদায়ে সোচ্ছার। দেশের জনগণ আন্দোলন করতে জানে। গত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ মার্কা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কুতুব উদ্দিন কমিশনারের সঞ্চালনায় শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পিপি এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ বোখারী, জেলা যুব দলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক পৌর প্যানেল মেয়র জিসান উদ্দিন জিসান, সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. ইউনুছ, কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা যুব দলের যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির।
বক্তব্য রাখেন- জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী, জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক এম খাইরুল আমিন হিরু, জেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন মুকুট, মহেশখালী উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি নুরুল আবছার, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম শান্ত, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক শাহাব উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, রামু উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আহমদ ছৈয়দ ফরমান, শহর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম সওদাগর, হোটেল শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ছৈয়দ, শহর শ্রমিক দল নেতা খোরশেদ আলম, পেকুয়া শ্রমিক দলের নেতা জামাল উদ্দিন, হোটেল শ্রমিক দল নেতা আলমগীর হোসাইন, শ্রমিক নেতা আবদুল হালিম ভান্ডারী প্রমুখ।
শ্রমিক সমাবেশে জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম-সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মোস্তাক, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এস্তাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কালু, আবাসিক হোটেল শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, রামু উপজেলা সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, মাতামুহুরী সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা আহবায়ক মো. নাসির উদ্দিন, টেকনাফ পৌর সভা আহবায়ক আবদুর রশিদ, জেলা শ্রমিক দলের যুব সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, শহর শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য শ্রমিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে ১৫ জন ত্যাগী শ্রমিক নেতা ও কর্মীকে ‘মে দিবস সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।